প্রতি দিন আদা খেলে কি কি উপকার পাবেন।
আমাদের রান্না ঘরের অতি পরিচিত একটি উপাদান আদা । এটি সাধারণত প্রাচীন কাল থেকেই রান্নায় মসলা হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে । রান্নার সাধ বাড়ানোর পাশাপাশি ভেষজ গুণের জন্যই হয়তো মানুষ যুগযুগ ধরে আদা রান্নায় মসলা হিসেবে ব্যবহার করে আসছে । তবে আধুনিক পুষ্টিবিদরা বলছেন, আদায় রয়েছে ভেষজ নানান গুণাবলী । বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময় করতে পারে আমাদের রান্না ঘরের অতি পরিচিত এই আদা । আদার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে জিঞ্জেরল, যেটাতে থাকে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়া ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উপাদান । এ ছাড়াও আদার আছে আরোও অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা । আজকের লেখাতে আমি আপনাদের সাথে সব স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো শেয়ার করতে চলেছি । আশা করছি এগুলো আপনাদের কাজে আসবে ইনশাল্লাহ । তো চলুন শুরু করা যাক ।
১ । বমি বমি ভাব দূর করে
আমাদের পেটে গ্যাস্ট্রিক রসের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় আদা, যা খাবারকে খুব দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকে অ্যান্টিস্পাজমোডিক গুণাবলি, যেটা আমাদের পেশির খিঁচুনি নিয়ন্ত্রণ করে।
এটি আমাদের পাচনতন্ত্রের পেশি শিথিল করতে সাহায্য করে। আদায় থাকে জিঞ্জেরল, শোগাওল, জিঞ্জেরোন । যেটা আমাদের বমি বমি ভাব দূর করে, বিশেষ করে আমাদের পেট ফোলা ভাব ও অস্বস্তি দূর করে।
আমাদের পেটে গ্যাস্ট্রিক রসের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় আদা, যা খাবারকে খুব দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকে অ্যান্টিস্পাজমোডিক গুণাবলি, যেটা আমাদের পেশির খিঁচুনি নিয়ন্ত্রণ করে।
এটি আমাদের পাচনতন্ত্রের পেশি শিথিল করতে সাহায্য করে। আদায় থাকে জিঞ্জেরল, শোগাওল, জিঞ্জেরোন । যেটা আমাদের বমি বমি ভাব দূর করে, বিশেষ করে আমাদের পেট ফোলা ভাব ও অস্বস্তি দূর করে।
২ । রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়
আমরা যদি প্রতিদিন আদা খাই, তাহলে আমাদের সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়, শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহয্য করে। আদায় থাকা জিঞ্জেরল ও শোগাওল শরীরের প্রাকৃতিক ঘাতক কোষ (এনকে বা ন্যাচারাল কিলার্স সেল) উৎপন্ন করে। এই ঘাতক কোষ হচ্ছে শ্বেতরক্তকণিকা, যা আমাদের দূষিত কোষ ও ক্যানসার কোষ ধ্বংস করে। জিঞ্জেরল শ্বেতরক্তকণিকার কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয় । এ ছাড়াও এই যৌগ ম্যাক্রোফেজের উৎপাদনও বাড়ায়, যা আমাদে দেহ থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয়।
৩ । মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে
যদি আপনি মাইগ্রেনের ব্যথায় ভুগে থাকেন ? তাহলে প্রতিদিন আদা খেতে পারেন । এটি আপনাকে স্বস্তি এনে দেবে । প্রাচীন কাল থেকেই মাইগ্রেনের ব্যথায় ঘরোয়া টোটকা হিসেবে আদা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আমাদের দেহের প্রদাহ সৃষ্টিকারী এনজাইমগুলোকে বাধা দেয় এই আদা । যে এনজাইমগুলো আমাদের মাইগ্রেনের জন্য দায়ী। আদা আমাদের পেশি শিথিল করে এবং রক্তনালিতে ফোলা ভাব কমাতেও ভুমিকা রাখে এবং ব্যথা কমায়। শোগাওল মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ কমাতে পারে। যার ফলে এটি আপনার মস্তিষ্কের সংবেদনশীল অংশে রক্তের প্রবাহ কমিয়ে মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
যদি আপনি মাইগ্রেনের ব্যথায় ভুগে থাকেন ? তাহলে প্রতিদিন আদা খেতে পারেন । এটি আপনাকে স্বস্তি এনে দেবে । প্রাচীন কাল থেকেই মাইগ্রেনের ব্যথায় ঘরোয়া টোটকা হিসেবে আদা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আমাদের দেহের প্রদাহ সৃষ্টিকারী এনজাইমগুলোকে বাধা দেয় এই আদা । যে এনজাইমগুলো আমাদের মাইগ্রেনের জন্য দায়ী। আদা আমাদের পেশি শিথিল করে এবং রক্তনালিতে ফোলা ভাব কমাতেও ভুমিকা রাখে এবং ব্যথা কমায়। শোগাওল মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ কমাতে পারে। যার ফলে এটি আপনার মস্তিষ্কের সংবেদনশীল অংশে রক্তের প্রবাহ কমিয়ে মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
৪ । ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়
আদায় থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফাইটোকেমিক্যাল, যেটা আমাদের শরীরের ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করে। গবেষণার প্রাপ্ত ফলে পাওয়া যায়, আদা ৪০ শতাংশ পর্যন্ত প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে। আদার রস টিউমারের বৃদ্ধি প্রায় ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেয় এবং টিউমারের আকৃতিও উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিতে পারে ।
আদায় থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফাইটোকেমিক্যাল, যেটা আমাদের শরীরের ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করে। গবেষণার প্রাপ্ত ফলে পাওয়া যায়, আদা ৪০ শতাংশ পর্যন্ত প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে। আদার রস টিউমারের বৃদ্ধি প্রায় ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেয় এবং টিউমারের আকৃতিও উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিতে পারে ।
৫ । রক্তে উচ্চ শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
রক্তে উচ্চ শর্করার সমস্যায় প্রাচীন কাল থেকেই আদা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আদা টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কারণ, আদায় থাকা উপাদান জিঞ্জেরল ও শোগাওল অগ্ন্যাশয়কে আরও ইনসুলিন তৈরি করতে উদ্দীপ্ত করে।
রক্তে উচ্চ শর্করার সমস্যায় প্রাচীন কাল থেকেই আদা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আদা টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কারণ, আদায় থাকা উপাদান জিঞ্জেরল ও শোগাওল অগ্ন্যাশয়কে আরও ইনসুলিন তৈরি করতে উদ্দীপ্ত করে।
৬ । উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে
বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, উচ্চ ফাইবার এবং ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার যদি আমারা খাই, তাহলে আমাদের উদ্বেগ কমে যায় । আর আদায় এগুলো বিদ্যমান থাকে । তাই উদ্বেগ কমানোর একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার হলো এই আদা।
বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, উচ্চ ফাইবার এবং ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার যদি আমারা খাই, তাহলে আমাদের উদ্বেগ কমে যায় । আর আদায় এগুলো বিদ্যমান থাকে । তাই উদ্বেগ কমানোর একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার হলো এই আদা।
৭ । বদহজম কমায়
আমাদের অনেকরই বদহজম হয়ে থাকে । এই বদহজমের অন্যতম প্রাকৃতিক প্রতিকার আদা হচ্ছে আদা । আদার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান জিঞ্জেরল, যেটা আমাদের খাবার হজমে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটা প্রদাহ কমিয়ে দেয়, যা বদহজমের কারণে হওয়া ব্যথাও কমাতে সাহায্য করে। জিঞ্জেরল গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের উৎপাদন কমায়, ফলে আমাদের পেটের আলসারও নিরাময় করতে পারে। বদহজম কমানোর ক্ষেত্রে আদা-চা একটি ভাল রেসিপি।
আমাদের অনেকরই বদহজম হয়ে থাকে । এই বদহজমের অন্যতম প্রাকৃতিক প্রতিকার আদা হচ্ছে আদা । আদার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান জিঞ্জেরল, যেটা আমাদের খাবার হজমে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটা প্রদাহ কমিয়ে দেয়, যা বদহজমের কারণে হওয়া ব্যথাও কমাতে সাহায্য করে। জিঞ্জেরল গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের উৎপাদন কমায়, ফলে আমাদের পেটের আলসারও নিরাময় করতে পারে। বদহজম কমানোর ক্ষেত্রে আদা-চা একটি ভাল রেসিপি।
৮ । হাঁপানি প্রশমন করে
জিঞ্জেরল ফুসফুসের শ্বাসনালির পেশি শিথিল করতে ভুমিকা রাখে । এটি ফোলা কমাতে পারে এবং শ্বাস নেওয়া সহজ করে দেয় । আপনার যদি শ্বাস নিতে সমস্যা হয়, তাহলে আদা রস করে খেতে পারেন, এতে আপনার শ্লেষ্মা দূর হবে ।
জিঞ্জেরল ফুসফুসের শ্বাসনালির পেশি শিথিল করতে ভুমিকা রাখে । এটি ফোলা কমাতে পারে এবং শ্বাস নেওয়া সহজ করে দেয় । আপনার যদি শ্বাস নিতে সমস্যা হয়, তাহলে আদা রস করে খেতে পারেন, এতে আপনার শ্লেষ্মা দূর হবে ।
Post a Comment