ঠান্ডা, সর্দি-কাশির উপশমে কী খাবেন

আসছে ঋতু পরিবর্তনের হাওয়া এই সময় অসুস্থ হওয়াটা স্বাভাবিক। শীতের এই পরিবর্তনের সময় আমাদের দেশে ঘরে ঘরে হাঁচি, সর্দি-কাশি, ফ্লু, নাক বন্ধ ইত্যাদি নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয়। ঠান্ডার কারণে গরম পানির ব্যবহার আমরা প্রাচীনকাল থেকেই করে আসছি । তবে এই গরম পানির সঙ্গে কিছু খাবার যদি আমরা যুক্ত করি তাহলে পুষ্টি উপাদান যেমন বাড়বে, তেমনি ইমিউনিটি সিস্টেম বা আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে । সেই সাথে আমরা হাঁচি, সর্দি-কাশি, ফ্লু, নাক বন্ধ ইত্যাদি সমস্যা থেকেও রেহাই পাবো । তো আজকে আমরা এমনই কিছু খাবার সম্পর্কে আলাপ করবো, যেগুলো আমাদের হাঁচি, সর্দি-কাশি, ফ্লু, নাক বন্ধ ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি মেলাবে । 

১ । স্যুপ

জ্বর, সর্দি-কাশিতে গরম স্যুপ অত্যন্ত আরামদায়ক একটি রেসিপি । ঠান্ডা লাগলে বা সর্দি–কাশি হলে সাধারণত আমাদের মুখের রুচিও চলে যায়। আমাদের মুখের রুচি ফেরাতে গোলমরিচ যুক্ত সবজি বা চিকেন স্যুপ দারুন কার্যকরী একটি রেসিপি । এই গরম স্যুপ আমাদের মিউকাস কমাতেও সাহায্য করে। আমাদের পরিবারের শিশু বা বয়স্ক যাঁরা ঠান্ডায় কিছুই খেতে চান না বা যাদের কোন কিছুতেই রুচি আসেনা, তাঁদের জন্য গরম স্যুপ হতে পারে পুষ্টির চমৎকার একটি উৎস।

২ । কালিজিরা ও রসুনভর্তা

কালিজিরা ও রসুন ধুয়ে-শুকিয়ে তাওয়ায় অল্প আঁচে তেলে নিন। এরপর বেটে বা ব্লেন্ড করে শর্ষের তেল ও লবণ মেখে গরম ভাতের সঙ্গে খেতে থাকুন । এতে আপনার বন্ধ নাক সহসাই খুলে যাবে । এ ছাড়াও সর্দি-কাশিতে আরাম পেতে ও ভেতর থেকে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে আপনি রসুন ও কালিজিরা আরাম করে খেতে পারেন ।

৩ । ডাবের পানি

জ্বর, কাশি হলে শরীর আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে । এ সময় বেশি করে পানি খাওয়া জরুরী । পানি খাওয়ার পাশাপাশি আপনি খেতে পারেন ডাবের পানি। বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ এই ডাবের পানীয় সর্দি-কাশির সঙ্গে লড়তে দারুণ সাহায্য করে। 

৪ । মসলা চা

গলায় খুসখুসে ভাব দূর করতে মসলা চার জুরি নেই।  আপনি এক চামচ আদাকুচি, একটি তেজপাতা ও দু'একটি লবঙ্গ দিয়ে দুই কাপ পানি ফুটিয়ে নিন । এবার তাতে সামান্য মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন । দেখবেন আপনি খুসখুসে ভাব থেকে মুক্তি পেয়ে গেছেন । আদা ও মধুর অ্যান্টি–ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি–ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান গলার গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া কমিয়ে দেয় এবং ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে আমাদের রক্ষা করে।

৫ । পুদিনা চা

পুদিনাপাতা দিয়ে তৈরি চা–কে পেপারমিন্ট চা বলা হয়ে থাকে । পুদিনাপাতা গরম পানিতে দিয়ে সেটাতে চা–পাতা ছিটিয়ে চা তৈরী করুন । এবার তৈরীকৃত এক কাপ চা খেয়ে নিন । দেখবেন আপনার ঠান্ডায় স্বস্তি এসে গেছে। পুদিনা চায়ে থাকে নানা রকম ঔষধি গুণ যা আপনাকে সারা দিন সুরক্ষা দেয়ার নিশ্চয়তা দেবে। এ ছাড়াও যারা সাইনাস ও মাইগ্রেনের ভুক্তভোগী তারাও এ পানীয়ে চুমুক দিলে চমৎকার উপকার পাবেন।


পাঠক আশা করি এতক্ষণ আলোচিত ঘরোয়া পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত রেসিপি গুলি আপনার সমস্যা সমাধানে সাহয্য করবে । তো আজ এ পর্যন্তই । কথা হবে পরের কোন এপিসোডে । আল্লাহ হাফেজ ।


No comments

Powered by Blogger.