নাকের এলার্জি এবং হাঁচি দূর করার উপায় ।
এলার্জি শব্দটার সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত । আজকে আমরা আলাপ করবো নাকের এলার্জি নিয়ে । আসুন তার আগে আমরা জেনে নেই । নাকের এলার্জি বলতে আসলে কি বোঝায় ? যদি কোনো কারণে আপনার নাক দিয়ে পানি বের হচ্ছে, প্রচুর হাঁচি হচ্ছে, স্বর্দি হচ্ছে, নাক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাহলে এই কন্ডিশনকেই বলা হয়ে থাকে নাকের এলার্জি । এটি সাধারণত বিভিন্ন কারণে হতে পারে । কোনো বিশেষ খাবার কারণে হতে পারে । বিছানা ঝাড়ু বা পরিষ্কার করার কারণে হতে পারে । আপনার ঘরের মেঝে ঝাড়ু দেবার কারণে হতে পারে । কিংবা এমন কোনো কাজ করছেন যেখানে ধুলো ময়লার সংস্পর্শে যেতে হয় । ডাক্তারি মতে এই সমস্যাকে এলার্জিক রাইনাইটিস বলা হয়ে থাকে ।
সম্মানিত সুধি, আজকে আমরা জানবো এই নাকের এলার্জি বা এলার্জিক রাইনাইটিস থেকে কিভাবে মুক্তি পেতে পারি । আশা করছি যারা এখন পর্যন্ত আমাদের সাথে আছেন তারা শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকবেন । তো চলুন শুরু করা যাক ।
বস্তুত এই নাকের এলার্জি কোনো সার্জারী দিয়ে ভালো করা যায় না । নাকের এই এলার্জি বা রাইনাইটিসের সমাধানে আপনাকে অনেক সময় ওষুধ মেইন্টেইন করতে হয় । বাজারে বিভিন্ন ধরনের এন্টি হিস্টামিন পাওয়া যায় । এগুলো দিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয় । যেমন রুপাটাডিন, ইবাস্টিন ফেক্সোফেনাডিন ইত্যাদি । এ গুলো ছাড়াও আরোও বিভিন্ন ধরনের এন্টি হিস্টামিন বাজারে এভেল্যাবল । এ ছাড়াও অনেক সময় ন্যাজাল স্প্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে । আবার মার্কেটে মন্টেলুকাস্ট নামের একটি ওষুধ পাওয়া যায়, এটি দিয়েও অনেক সময় রোগীর সেবা দেয়া হয়ে থাকে ।
এখন আসি আপনি ওষুধের বাইরে কি করবেন ? এলার্জি আসলে শুধু ওষুধে আপনি কিছুতেই মুক্তি পাবেন না । আপনার যদি জানা থাকে যে এই খাবারটির কারণে আপনার নাকের এলার্জি হচ্ছে, তাহলে আপনাকে সেই খাবারটি এড়িয়ে চলতে হবে বা খাবার আগে একটি এন্টি হিস্টামিন খেয়ে নিতে হবে । তবে যদি এমন হয় যে, আপনার ঐ খাবার না খেলেও চলে তাহলে সেই খাবার একবারেই বাদ দেয়টাই উত্তম । যদি আপনার ঘর ঝাড়ু দিতে এই সমস্যা হয়, তাহলে আপনাকে অবশ্ব্যই অবশ্ব্যই ঝাড়ু দেবার আগে মুখে মাস্ক পড়ে নিতে হবে । যদি বিছানা পরিষ্কার করতে এমন সমস্যা হয়, সে ক্ষেত্রেও আপনি মাস্ক পড়ে নিতে পারেন । যদি ধুলো ময়লার কাজ করতে হয় তাহলেও আপনাকে মাস্ক পড়ে নিতে হবে । মোট কথা যে এলার্জির এজেন্ট গুলোর কারণে আপনার নাকের সেনসিভিটি বেড়ে যায় সেই পরিস্থিতি আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে । তবেই আপনি এই রাইনাইটিস থেকে মুক্তি পেতে পারেন । এগুলো মেইন্টেইন না করলে আপনি কিছুতেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন না । কেননা এর স্থায়ী কোনো সমধান এখনো আসেনি ।
এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য মোবারকবাদ । আশা করি লেখাটা আপনাদের ভালো লেগেছে । যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে একটা লাইক দিবেন । আর বন্ধু-বান্ধব আত্মীয় স্বজনদের সাথে শেয়ার করে পড়ার সুযোগ করে দিবেন । আল্লাহ সকল অবস্থায় আমাদের সহায় হোক -আমিন ।
Post a Comment