ইফতারে স্যালাইন পান করা কি ঠিক?
রমযনা বা সিয়াম সাধনা মানেই দিনভর পানাহার ও খাওয়া থেকে বিরত থাকা । তাই সিয়াম বা রোযা পালন করলে আমাদের খাওয়া এবং পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয় । ফলে সিয়াম পালনের সময় আমাদের পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে । তবে এ সময় তুলনামুলক বেশি ঝুঁকিতে থাকেন বয়স্ক ও শিশুরা সেই সাথে যারা ডায়াবেটিস এবং কিডনি রোগে ভুগছেন তারা । যার কারণে অনেকেই ইফতারের সময় স্যালাইন পান করে থাকেন ।
আজকের লেখাতে আমি আপনাদের জানাতে চাই দিনভর রোযা থাকার পর ইফতারে স্যালাইন খাওয়া কি যাবে ? নাকি না খাওয়াই নিরাপদ । বিশেষ করে যারা উচ্চ রক্ত চাপ, ডায়াবেটিস এবং কিডনি সমস্যায় ভুগছেন । তো চলুন শুরু করা যাক ।
দীর্ঘ সময় খাওয়া এবং পানাহার থেকে বিরত থাকাতে আমাদের দেহে পানিশূন্যতা দেখা দিতেই পারে । এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক । তবে এই পানিশূন্যতার কিছু লক্ষণ বা উপসর্গ আছে, যেগুলো দেখলে বুঝতে হবে আমাদের দেহে পানি শূন্যতা দেখা দিতে যাচ্ছে । এই উপসর্গ বা লক্ষণ গুলি যেমনঃ শরীর দুর্বল লাগা, মুখ ও ত্বক অতিরিক্ত শুকিয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং জিব শুকিয়ে যাওয়া ।
এই লক্ষণ গুলো দেখা দিলে আমাদের অনেকেই ইফতারে পানির পরিবর্তে স্যালাইন খেয়ে থাকেন । কিন্তু এই কাজটি মোটেও ঠিক না । খালি পেটে স্যালাইন খেলে বমি বমি ভাব হতে পারে । হতে পারে বমিও । তবে ইফতার খাওয়ার পর ভরা পেটে এক গ্লাস স্যালাইন খেতে পারেন । তবে সাবধান, যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপের মতো জটিল রোগগুলি আছে তারা ভুলেও স্যালাইন খেতে যাবে না । কেননা এতে আপনাদের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে ।
স্যালাইন খাওয়ার ফলে রক্তে যে লবনের ক্রিয়া ঘটে সেটা সবার জন্যে উপকারী নয় । উচ্চরক্তচাপধারী কেউ স্যালাইন খেলে তার শারীরিক সমস্যা বেড়ে যেতে পারে । স্যালাইনের লবণে সোডিয়াম ক্লোরাইড বিদ্যমান থাকার কারণে রক্তে ইলেক্টোলাইট ভারসাম্যহীনতা তৈরী করতে পারে । আর এতে শ্বাসকষ্ট হতে পারে । তাই অকারণে কিংবা চিকিৎসকের শরণাপন্ন না হয়ে স্যালাইন খাওয়া কোন অবস্থাতেই ঠিক নয় ।
সম্মানিত সুধি, আজ এ পর্যন্তই । কথা হবে পরের কোন এপিসোডে । আল্লাহ সকল অবস্থায় আমাদের সহায় হোক ।
Post a Comment