রসুনের গুণ, কীভাবে খেলে হবে দ্বিগুণ!
আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে রসুন একটি অপরিহার্য সবজি বা রান্নার মসলা । আমরা সাধারণত রসুন ব্যবহার করে থাকি খাবারের স্বাদ বাড়াতে মসলা হিসাবে । কিন্তু প্রাচীন কালে এই রসুন ব্যবহৃত হোত ভেষজ ওষুধ হিসাবে । রসুন নানান গুণে সমৃদ্ধ একটি পুষ্টিকর মসলা বা সবজি । তাই অনেকেই রসুনের পুষ্টিগুণ পেতে রান্নায় বেশি বেশি খেয়ে থাকেন । আপনাদের একটি তথ্য জানিয়ে রাখি । যদিও আজকের আলাপের সাথে প্রাসঙ্গিক না । তবুও জানানোর জন্য মনটা ছটফট করছে । আমাদের দেশের চাহিদার শতকরা ৩০ শতাংশ যোগান দিয়ে থাকে নাটোর জেলা । থাক সে কথা এবার আসল আলাপে আসি ।
পুষ্টিবিদরা বলছেন রসুনের মেলা গুণ । কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না, রান্নায় ব্যবহার না করেও রসুনের পুষ্টিগুণ দ্বিগুণ পাওয়া সম্ভব । আমাদের শারীরিক অনেক জটিলতা কাটাতে রসুন দারুন কার্যকর । আমাদের আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক হিপোক্রেটিস সারভাইকাল ক্যানসার চিকিৎসায় এই রসুন ব্যবহার করতেন । গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত রসুন খেলে হার্ট বেশ সুস্থ রাখে এবং হার্টের নানান জটিলতা ঠেকাতেও ভুমিকা রাখে ।
আজকের লেখাতে আমি আপনাদের জানাতে যাচ্ছি, রসুন কিভাবে খেলে আমরা এই রসুনের সার্ভিস দ্বিগুণ পাবো অর্থাৎ এই রসুন দ্বিগুণ কাজ করবে । তো চলুন শুরু করা যাক ।
সম্মানিত পাঠক কিভাবে খেলে রসুন দ্বিগুণ কাজ করে, এটি জানার আগে আসুন দেখি রসুন আমাদের কি কি উপকার করে বা কাজে লাগে ।
১ । রসুন আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমাতে পারে ।
২ । বিপাক ক্রিয়ায় ও পরিবেশ দূষণের ফলে আমাদের দেহে যে ফ্রি-র্যাডিকেল সৃষ্টি হয়, রসুনে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সেটা ভালোভাবে প্রতিরোধ করতে পারে ।
৩ । অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এর পরিমাণ রসুনে বেশি থাকাতে এটি অ্যালঝাইমার ও ডিমেনসিয়ার প্রকোপ কমিয়ে দিতে পারে ।
৪ । সংক্রমণজনিত অসুখ-বিসুখ কমাতেও ভুমিকা রাখে ।
৫ । মেয়েদের ইস্ট্রোজেন লেভেল বৃদ্ধি করে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ।
৬ । শরীরের জন্য লেডের ক্ষতির প্রবণতা কমিয়ে দেয় ।
৭ । এলার্জি থেকেও আমাদের দূরে রাখে ।
৮ । ব্রণ সমস্যাতেও রসুন কার্যকর ।
৯ । এ ছাড়াও শারীরিক দুর্বলতা রোধ করে এবং আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় ।
এই রসুন আপনি কিভাবে খাবেন? এই রসুনের দ্বিগুণ ফল পেতে হলে, আপনাকে খেতে হবে ভাতের সঙ্গে দুই কোষ রসুনের কোয়া । এটিকে আপনার অভ্যাসে পরিণত করতে হবে । রসুনে ঝাঁজালো গন্ধের এলিসিন নামে একটি উপাদান থাকে । এটি শরীরে বেশি হলে বিষক্রিয়া তৈরী করতে পারে তবে এটির স্বাভাবিক উপস্থিতি আমাদের দেহে ওষুধের মতো কাজ করে । তাই প্রতিদিন ৪ কোয়ার বেশি রসুন না খাওয়াই উত্তম ।
সম্মানিত সুধি, আজ এ পর্যন্তই । কথা হবে পরের কোন এপিসোডে । আল্লাহ সকল অবস্থায় আমাদের সহায় হোক ।
Post a Comment