খেজুরের ১০ উপকারিতা
মরু দেশের ফল খেজুর যেমন খেতে সুস্বাদু তেমনি এর আছে নানান স্বাস্থ্য উপকারিতা । খেজুরের নানান স্বাস্থ্য উপকারিতার কারণেই একে বলা হয় সুপার ফুড । আমাদের ভেতর যারা প্রক্রিয়াজাত চিনি কিংবা মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন না, তারা সহজেই সেটার বিকল্প হিসাবে খেজুর খেতে পারেন । আমাদের এই বিশ্বে কত প্রজাতির খেজুর থাকতে পারে ? না আপনি আমি যা ভাবছি খেজুরের প্রজাতি আছে তার থেকে অনেক বেশি । এই খেজুর প্রায় হাজার তিনেক প্রাজাতি আমাদের এই পৃথিবীতে বিদ্যমান । খেজুর পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল । এতে থাকে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, জিঙ্ক ও ম্যাঙ্গানিজসহ আরোও বিভিন্ন পুষ্টিকণা ।
আজকের এই আর্টিকেলে মরু দেশের ফল খেজুরের স্বাস্থ্যগত প্রভাব অর্থাৎ এই খেজুর আমাদের শারীরের জন্য কি কি উপকার করে, সেটা নিয়েই আলাপ করবো । আশা করছি লেখাটা আপনদের ভালো লাগবে ।
তো চলুন দেখি খেজুর আমাদের শরীরের জন্য কি কি উপকার বয়ে নিয়ে আসে ?
১ । আমাদের শরীরের রক্তনালির জন্য খেজুর দারুন উপকারী । কেননা এটি খেলে আমাদের ধমনি পরিষ্কার থাকে । আমাদের দেহে রক্ত প্রাবাহে কোন প্রকার বাঁধার সম্মুখীন হয় না । যার ফলে আমাদের হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায় ।
২ । এক গবেষণায় উঠে এসেছে, নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ খেজুর খেলে আমাদের লিভার সুস্থ এবং সবল থাকে ।
৩ । এতে আছে প্রচুর পটাসিয়াম, যা হৃদ্রোগ থেকে আমাদের রেহাই দেয় এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় ।
৪ । খেজুরে বিদ্যমান থাকে প্রচুর ভিটামিন এ । যেটা চোখের জন্য দারুন কার্যকরী । এ ছাড়াও ভিটামিন এ আমাদের চোখের কর্ণিয়াকে সতেজ রাখে । খেজুরে থাকে লুটেনিন ও জেক্সানথিন । যে গুলো আমাদের চোখকে সুরক্ষা দেয় ।
৫ । ইফতার ছাড়াও আমরা বছরের অন্য সময়েও নাশতায় খেজুর রাখতে পারি । কেননা খেজুরে থাকে চিনি, যা আমাদে শরীরে দ্রুত শক্তি যোগায় । আমারা সকালের নাস্তায় বাদামের সাথে যদি খেজুর খাই, তাহলে আরোও বেশি বেশি পরিমাণে এনার্জি পেতে পারি । কেননা বাদামে থাকা ফ্যাট খেজুরের শক্তিকে আরোও বৃদ্ধি করে দেয় । আর এ জন্যেই খেলোয়ারদের খাদ্য তালিকায় আমরা এ জাতীয় খাবার পাই ।
৬ । খেজুর আমাদের বদহজম থেকে দূরে রাখে । কোষ্ঠকাঠিন্য ও বুকের জ্বালাপোড়াও কমিয়ে দেয় । কেননা এতে আছে অ্যামিনো অ্যাসিড ও ফাইবার যা আমাদের খাবার হজমে সাহায্য করে।
৭ । খেজুরে থাকে ম্যাগনেশিয়াম, যা ফোলা ও ব্যথা সারিয়ে তুলতে আমাদের সাহায্য করে । এ ছাড়াও এতে আছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল পাওয়ার যা আমাদের সংক্রমণ থেকে রেহাই দেয় ।
৮ । খেজুর ফ্রুক্টোজের চমৎকার একটি উৎস । যার ফলে এটি খেতে প্রচুর মিষ্টি । এতে অনেক পুষ্টি উপাদান, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় যে কোন রেসিপিতে সাদা চিনির বিকল্প হিসাবে আমরা ব্যবহার করতে পারি ।
৯ । রক্ত স্বল্পতায় বা এনিমিয়ায় আমরা খেজুর কে ওষুধ হিসাবেও ব্যবহার করতে পারি । কেননা খেজুরে থাকে অনেক আয়রণ । ফলে এটা আমাদের রক্ত স্বল্পতা অসুখ থেকে আমাদের রেহাই দিতে পারে ।
১০ । আমরা যদি নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করি, তাহলে এটি আমাদের ত্বককে শুষ্কতা থেকেও রক্ষা করতে পারে । তদুপরি দিতে পারে ত্বকের নানা সমস্যা থেকেও মুক্তি এবং আমাদের শরীরের বলি রেখা থেকেও সরিয়ে রাখতে পারে এই খেজুর ।
সম্মানিত পাঠক আজ এ পর্যন্তই । ভাল লাগলে একটা লাইক, শেয়ার এক্ষুণি দিয়ে দিন । আল্লাহ সকল অবস্থায় আমাদের সহায় হোক ।
Post a Comment