ওষুধ ছাড়াই পেটের গ্যাস দূর করুন ঘরের খাবারে
পেটে গ্যাসের সমস্যা হয়নি এমন মানুষ খুজে পাওয়া যাবে ? মনে হয় না । থাক সে কথা । আমাদের জীবনে কোন না কোনো সময় এই সমস্যায় হয়তো অনেকের প্রায়ই পড়তে হয় । অনেকে হয়তো নিয়মিত ওষুধও খাই । কিন্তু প্রত্যেক ওষুধেরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে । ওষুধ যেমন আমাদের উপকার করে, কিন্তু বেশী ব্যবহারে, এর কিছু না কিছু ক্ষতিকর দিক আছেই । এই ক্ষতিকর দিক এড়াতে আমরা যদি আমাদের বাড়ির দৈনন্দিন খাবারে আমাদের গ্যাসের সমস্যার সমাধান করতে পারি, তাহলে কেমন হতো ? আমাদের অর্থও বেচে যেতো, ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও রক্ষা পেতাম ।
আজকের লেখাতে আমি আপনাদের এই গ্যাসের সমস্যা সমাধানে ঘরোয়া কিছু খাবার নিয়ে আলোচনা করবো । দুই এক মিনিট সময় লাগলেও লেখাটা পড়তে থাকুন । ইনশাল্লাহ আপনাদের কাজে লাগবে ।
ব্যায়াম কিংবা শারীরিক পরিশ্রম না করলে, পানি কম খেলে নয়তো আশযুক্ত খাবার কম খেলে আপনার পেটে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে । আবার অনেক সময় হজমের গন্ডগোলের কারণেও গ্যাসের বিপত্তি বাধতে পারে । তবে কিছু প্রাকৃতিক খাবার আছে যে গুলো আপনার পেটের গ্যাস সহ অন্য সমস্যায় বেশ কাজে দেয় । সম্মানিত দর্শক আসুন আমরা এক এক করে খাবার গুলো সম্পর্কে জেনে নেই ।
সবার প্রথমেই যে খাবারটির কথা আসে সেটা হচ্ছে দইঃ দই অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার । ল্যাকটোব্যাসিলাস, অ্যাসিডোফিলাস ও বিফিডাসের মতো নানা উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে এই দইয়ে। দই খেলে হজম অত্যন্ত ভালো হয়, গ্যাসও কমে। তাই খাবারের পর টকদই খাওয়া অত্যন্ত উপকারী ।
এর পর দুই নাম্বারে যে খাবারটির কথা আসে সেটা হচ্ছে হলুদঃ আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আছে এটি হজম সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যায় দারুন কার্যকরী । এ ছাড়াও হলুদ চর্বি জাতীয় খাবার হজমেও দারুন ভুমিকা রাখে । হলুদ শরীরের প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে ।
নাম্বার তিন পালংশাকঃ পেটের সমস্যায় পালংশাক দারুন ফলদায়ক একটি খাবার । এতে থাকে অদ্রবণীয় আঁশ যা আমদের পেট পরিষ্কার রাখতে ভুমিকা রাখে । গ্যাস করে নির্মূল । তবে ঠিকঠাক উপকার পেতে ভালো করে সেদ্ধ করে ক্ষেতে হবে ।
নাম্বার চার লেবু-পানিঃ বেশি বেশি পানি পান উপকারী এটা আমরা কম বেশি সবাই জানি । কিন্তু কুসুম কুসুম গরম পানির সাথে লেবুর রস আমাদের পেট পরিষ্কার রাখে । মলের পরিমাণও বাড়িয়ে দেয় । ফলে আমরা গ্যাস থেকেও রেহাই পেয়ে যাই ।
নাম্বার পাচ-মৌরিঃ নানান গুনে ভরা এই মৌরি । মৌরিতে আছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাংগানিজ, ভিটামিন সি, আয়রন, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো অত্যন্ত উপকারী খনিজ উপাদান । এই মৌরির চা আমাদের হজম প্রক্রিয়ায় বেশ জোড়ালো ভুমিকা রাখে । মৌরির তেলের আছে পেটের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধের গুণাবলী । গ্যাস্ট্রিক এনজাইম তৈরিতে মৌরি আছে বিশেষ অবদান ।
নাম্বার ছয়-শসাঃ উচ্চমাত্রায় পানি ও নিম্নমাত্রার ক্যালরিযুক্ত উপাদান আছে এই শসায় । এ ছাড়াও আছে প্রচুর সিলিকা ও ভিটামিন সি । কাঁচা শসা চিবিয়ে খান দেখবেন আপনার হজমে সেটা বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। নিয়মিত শসা খেয়ে আপনি দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারবেন । এ ছাড়াও যারা ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায়, তারা ওজন কমাতে নিয়মিত খাবারে সাথে শসার সালাদ খেতে পারেন ।
নাম্বার সাত- কলাঃ বেশি মাত্রায় লবন খাওয়াদের গ্যাস এবং সেই সাথে হজমে সমস্যা হতে পারে । কলায় আছে পটাসিয়াম যা আমাদের শরীরের সোডিয়াম এবং পটাসিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে । এ ছাড়াও আমাদের শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেয় ।
সুতরাং গ্যাসের সমস্যা সমাধানে আপনি এ গুলো খেতে পারেন । সম্মানিত সুধি আজ এ পর্যন্তই । কথা হবে পরের কোন এপিসডে । ভাল লাগলে একটা লাইক দিন আর শেয়ার করে অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিন ।
Post a Comment