সকালে নাশতায় বাসি রুটি খেলে যে উপকার পাবেন
সাধারণত আমরা জানি যে কোন বাসি খাবার আমাদের সাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর । তাই আমরা সব সময় বাসি খাবার এড়িয়ে চলাটাই স্বাস্থ্যকর মনে করি । কিন্তু এই শীতে অনেক সময় আমাদের সময় সুযোগের কারণে বাসি খাবার খেতে হয় । যেমন সময়ের অভাবে অনেক সময় দেখা যায়, সকাল সকাল নাশতায় রুটি বানানো আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না । ফলে এতে আমরা কি করি? আমরা ফ্রিজে রাখা রুটি দিয়েই সকালের প্রিয় নাস্তাটা সারতে চেষ্টা করি । সম্মানিত দর্শক আপনি হয়তো ভাবছেন এভাবে বাসি খেয়ে হয়তো আপনি আপনার ক্ষতি করছেন । কিন্তু প্রিয় সুধি ব্যপারটা মোটেও আপনার জন্য ক্ষতিকর নয় । কারণ অন্যান্য বাসি খাবার স্বাস্থ্যের জন্য আপনার ক্ষতির কারণ হলেও বাসি রুটি আপনার জন্য স্বাস্থ্যকর তো বটেই, বরং পুষ্টির দিক দিয়েও বাকি অন্যান্য খাবার থেকে এগিয়ে। শুনতে অবাক লাগলেও আজকে আপনাদের সেটাই জানাতে যাচ্ছি । সম্মানিত সুধি, আসুন জেনে নেই কেন বাসি রুটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ।
বাসি রুটি কেন স্বাস্থ্যকরঃ
প্রথমতঃ গরম-গরম রুটি থেকে বাসি রুটিতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স তুলনামূলক অল্প থাকে। বাসি রুটি সাধারণত আগের দিন ভাজা হয় এবং সেটা ফ্রিজের তাপমাত্রায় ঠান্ডা হয়ে যায়। খাওয়ার আগে আমরা সেই রুটি পুনরায় গরম করে নেই । এর ফলে ঠান্ডা-গরমের মিশ্রণে রুটির কার্বোহাইড্রেটের গঠনে পরিবর্তন ঘটে যায় । যার ফলে চিনিতে পরিণত হতে বেশি সময় লেগে যায় । ফলে সকালবেলা হুট করে রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়তে পারে না। এ জন্য সকাল সকাল কাজে গিয়ে দ্রুত মনোযোগ বসানো সম্ভব হয়।
কারণ নাম্বার ২ হজমে সাহায্য করে
সারা রাত ভরে ঠান্ডা হওয়ার পর পুনরায় গরম করলে রুটিতে কার্বোহাইড্রেট ভেঙে যায়। এতে রুটি সহজে হজম করা সম্ভব হয়ে ওঠে । এ ছাড়াও বাসি রুটির পাকস্থলীর ওপর চাপের প্রভাবও কম হয় ।
তৃতীয়তঃ স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়ার জন্মদেয়ঃ
রাতভর বাসি রুটিতে জন্ম হয় ব্যাকটেরিয়া্র। কিন্তু রুটিতে জন্ম নেওয়া এই ব্যাকটেরিয়া মোটেও খারাপ ব্যাকটেরিয়া নয়। বরং সেই ব্যাকটেরিয়া গাঁজন বা ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়ায় জন্ম নেওয়া ব্যাকটেরিয়া । যে ব্যাকটেরিয়া মাইক্রো অর্গানিজম বৃদ্ধিতে ভুমিকা পালন করে । এবং এই ব্যাকটেরিয়া পাকস্থলীতে গিয়ে হজমে সহায়তা করে।
চথুর্থতঃ এর পুষ্টিগুণ একই থাকে
আপনারা হয়তো ভাবছেন যেহেতু বাসি রুটু এত সুযোগ দিচ্ছে । নিশ্চয়ই এর গুনগত মানে হেরফের হয় । কিন্তু না মজার ব্যাপার হলো ধোঁয়া তোলা গরম রুটিতে যে পুষ্টি রয়েছে, বাসি রুটিতেও রয়েছে প্রায় একই পরিমাণ পুষ্টিগুণ । সামান্য দুই–একটা ভিটামিনের পুষ্টিগুণ কিঞ্চিত এদিক–সেদিক হলেও আর বাকি সব প্রয়োজনীয় বি ভিটামিন, আয়রন, কিংবা ফাইবারের পরিমাণ একই থাকে।
এই শীতের সকালে উঠে নাশতা বানানো যখন আপনার কাছে বিরক্তিকর লাগে । তখন আপনি অনায়াসে রাতের বানানো বাসি রুটি দিয়ে সকালের নাস্তার কাজটা সহজেই চালিয়ে নিতে পারেন । তবে মনে রাখবেন, নিজের সময় ও পকেট বাঁচাতে দুই তিন দিন আগের রুটি খেয়ে সকালের নাশতা সারতে যাবেন না । সর্বোচ্চ এক দিনের বাসি রুটি আপনি চালিয়ে নিতে পারেন । এর বেশি হলে সেটা আপনার কাজে আসাতো দূরের কথা উলটো আপনার ক্ষতি করতে পারে ।
সম্মানিত সুধি আজ এ পর্যন্তই । ভাল লাগলে লাইক শেয়ার করতে ভুলবেন না । কথা হবে পরের কোনো এপিসোডে । আল্লাহ হাফেজ ।
Post a Comment