জীবনের যে আট মুহুর্তে চুপ থাকাটাই শ্রেয় ।
১ । যুক্তির মাধ্যমে কোন কিছুর বিচার করা ভালো । তবে সব সময় সব বিষয়ে তর্ক কারা ভাল না । কোন বিষয়ে না জানলে চুপচাপ থাকাই উত্তম । অযথা তর্ক করলে আপনার নিজেরই সম্মান হানি ঘটবে ।
২ । কথিত আছে, অপ্রিয় সত্যির থেকে প্রিয় মিথ্যে অনেক ভালো । সুতরাং যে সত্যি অপ্রিয়, তা প্রিয় মানুষটাকে না বলাই শ্রেয় । আপনার এই টুকুন চুপ থাকাতে কারও মুখের হাসিটাতো বজায় থাকলো ।
৩ । যখন বুঝবেন কোন আলোচনায় আপনার কথা অপ্রয়োজনীয় মনে করা হচ্ছে, আপনার মতামত নেয়াই হচ্ছে না । তখন নিজে থেকে আপনার মতামত না দেয়াই ভালো । বরং চুপচাপ থেকে পুরো পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করুন ।
৪ । কথা মানুষের ফুরিয়ে যেতেই পারে, তাই জোর করে কথা না বলে চুপচাপ থাকুন । কখনোও কখনোও চুপচাপ থাকাটাকে আপনি উপভোগ করতে পারেন ।
৫ । প্রতিবাদ করাটা ভাল । তবে তা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিতে হবে । যদি বুঝতে পারেন কোন স্থানে আপনাকে অসম্মান করা হচ্ছে, অথচ আপনার প্রতিবাদ করার মতো পরিস্থিতি নেই, তাহলে চুপ করে থাকুন । মনে রাখবেন, যুদ্ধে পিছিয়ে আসা মানেই পরাজয় নয় , সেটা হয়তো কৌশল সাজাবার সময়ও হতে পারে ।
৬ । আপনার মানসিক অবস্থা ভাল নেই । সব কিছুই যেন বিরক্ত লাগছে । এমন অবস্থায় যতটা পারেন চুপচাপ থাকুন । কেননা এমন পরিস্থিতিতে ভাল কারোও সাথে আপনি অযথা খারাপ আচরণ করতে পারেন । আর এ জন্যে পরে আপনাকে অনুশোচনায় পড়া লাগতে পারে ।
৭ । জীবনে অনেক খারাপ পরিস্থিতি আসতে পারে, অনেক সময় রাগের সীমা থাকে না । কারোও উপর রাগ হলে আপনার অনেক কিছুই মনে হতে পারে, তবুও তার সামনে চুপচাপ থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ ।
৮ । যেখানে তর্ক চলে সেখানে নিজেকে সেরা যাহির করতে যাবেন না । তর্কে জেতার চেষ্টা করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়, আপনি বরং তর্কে না জরানোটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ ।
Post a Comment